চান্দিনা ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনায় মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট ) সকালে অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকে কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কামালের ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মামলা সূত্রে জানা যায় অবৈধ পথে বিদেশে মানব পাচারের অভিযোগে বিজ্ঞ আদালতে মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে আদম বেপারি চক্রের মূল হোতা কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। পলাতক রয়েছেন কামালের স্ত্রী আয়েশা বেগম। কামাল হোসেন চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল সামাদ মেম্বারের ছেলে। গ্রেফতারকৃত কামাল হোসেন বিজ্ঞ আদালতে লিখিত আপস নামা দিয়ে দুদিনের জন্য জামিনে আসেন। বাড়িতে বসে ভুক্তভোগী আলামিনের সাথে মীমাংসা করেদিবেন। কিন্তু মীমাংসা তো দূরের কথা দেখাই মিলি নি তার। দুদিনের মধ্যে কোন সূরা না হলে বিজ্ঞ আদালত কামাল হোসেন এবং কামাল হোসেনের স্ত্রী আয়েশার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোনা জারি করেন। আজ রবিবার সকাল ১১টায় নিজ বাড়ি থেকে কামাল হোসেনকে আটক করে চান্দিনা থানা পুলিশ। পুলিশ আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গত বছরের জুলাই মাসে দালাল কামাল হোসেন সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে ভালো মানের কাজের ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। পরে আকামা করা সহ ভিসার মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় সৌদি পাঠানোর পর কোন কাজ এবং কোন প্রকার আকামা না দেওয়ায়। কামালের এমন প্রতারণায় সৌদি পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেল খেটে দেশে ফেরত আসে আল-আমিন।
বিষয়টি স্থানে ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে, ভুক্তভোগীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ। ২১ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে আদম বেপারি চক্রের মূল হোতা কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে চান্দিনা থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা আরও বলেন অনেক আগে থেকেই মানব পাচারের সাথে জরিত আদম বেপারি কামাল হোসেন। তার বিরুদ্ধে গ্রামে একাদিকবার সামাজিক ভাবে সালিশি বৈঠক হয়েছে।
এবিষয়ে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ উল ইসলাম বলেন বিজ্ঞ আদালতে মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে কামাল হোসেনকে আটক করে আদালতে পাঠাই। দোষী সাব্যস্থ হলে জেল হাজতে পেরন করে আদালত।
অবৈধ পথে মানব পাচার রোধে “প্রতিরোধ ও দমন” আইনে, পাচারকারী কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি গ্রহনের দাবী জানান ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা।